স্ত্রী এবং শাশুড়ির মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ছেলেদের ভূমিকা: ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক

পারিবারিক জীবনে স্ত্রী ও শাশুড়ির মধ্যে সম্পর্ক যতটা মধুর হবে, পুরো পরিবারের পরিবেশ ততটাই শান্তিময় ও সহনশীল হয়। অনেক পরিবারে দেখা যায়, ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থেকেই বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এইসব সমস্যার পেছনে একটির নামই ঘুরে ফিরে আসে—“বউ ও শাশুড়ি বিষয়ক” দ্বন্দ্ব। অথচ মাঝখানে থাকা ছেলেটি যদি কিছু দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়, তবে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যেতে পারে।

নিচে এমন ১০টি দায়িত্ব তুলে ধরা হলো যা ছেলেদের পালন করা উচিত স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য—

১. উভয়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধা ও গুরুত্ব প্রদর্শন

ছেলের উচিত কখনো পক্ষপাতিত্ব না করা। মা ও স্ত্রী, উভয়ের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান এবং গুরুত্ব প্রদর্শন করলে দুজনেই নিরাপদ ও মূল্যবান বোধ করেন।

২. যোগাযোগের সেতু হওয়া

অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির কারণ হয় অপর্যাপ্ত যোগাযোগ। ছেলে যদি মাঝেমধ্যে উভয়ের কথাবার্তা সুন্দরভাবে একে অপরের কাছে তুলে ধরে, তাহলে সম্পর্ক জোরদার হয়।

৩. স্ত্রীকে মানিয়ে চলার সুযোগ দেওয়া

বিয়ের পর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। শাশুড়ির সঙ্গে সরাসরি তুলনা না করে বরং স্ত্রীকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।

৪. মায়ের মানসিকতার প্রতি সংবেদনশীল থাকা

বয়সের সাথে সাথে শাশুড়িদের মানসিকতা একটু ভিন্ন হতে পারে। সে অনুযায়ী তার কথাবার্তা ও আচরণ বুঝে চলা দরকার।

৫. স্ত্রীর প্রতি মায়ের শ্রদ্ধা অর্জনের পরিবেশ তৈরি করা

ছেলের আচরণ এমন হওয়া উচিত যেন মা বুঝতে পারেন, তার ছেলের জন্য স্ত্রী কতটা গুরুত্বপূর্ন এবং যত্নশীল।

আরও পড়ুন: অপারেশন সিনদুরে ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি: তাজা বিবরণ এবং পর্যালোচনা

৬. সন্ধানী না হয়ে সমস্যা সমাধানে সহায়ক হওয়া

স্ত্রী ও মায়ের মাঝের সামান্য বিষয়গুলোকে বড় না করে বরং তা শান্তভাবে সমাধান করা।

৭. সময় ভাগ করে উভয়ের সান্নিধ্যে থাকা

যদি ছেলে মায়ের সাথেই সারাদিন কাটায়, তাহলে স্ত্রী অবহেলিত বোধ করতে পারে। উভয়ের সাথে সময় ভাগ করে চলা সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখে।

৮. ছোট ইগো বা তুচ্ছ অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়া

স্ত্রী বা শাশুড়ি যে কোনো এক পক্ষের ছোটখাটো অভিযোগে রাগান্বিত না হয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।

৯. একসাথে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করা

যেমন ঈদ, পূজা, পারিবারিক কোনো আনন্দঘন সময়—এইসব সময়ে তিনজন মিলে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করলে সম্পর্ক ভালো হয়।

১০. উদাহরণ স্থাপন করা

ছেলে যদি নিজেই সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়, তবে স্ত্রী ও শাশুড়িও তাকে দেখে নিজেদের আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে।

Leave a Comment