পান্তা ভাত খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পান্তা ভাত খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের দিনে পান্তা ভাত নিয়ে আলোচনা হলেও এই খাবারটি নিয়ে এবার আলোচনা করা হয়েছে ভিন্ন এক কারনে। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় যেসব অঞ্চলে প্রচুর ধান উৎপন্ন হয় এবং যেসব দেশে ভাত প্রধান খাবার, মূলত সেসব দেশে ভাত পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার পদ্ধতি চালু আছে। এসব এলাকায় আবহাওয়া খুব বেশি গরম ও আদ্র হওয়ার কারনে খুব সহজেই ভাত নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পানিতে ভিজিয়ে রাখার জন্য ভাত দ্রুত নষ্ট হয় না।

মূলত সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করেই পান্তা ভাতের চল শুরু হয়।

পান্তা ভাত কিভাবে হয়

সাধারণত আগের দিন রাতের রান্না করা ভাত বেচেঁ গেলে সংরক্ষনের জন্য এই ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমান জল দিয়ে প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়। এভাবে দশ বারো ঘন্টা ধরে সারা রাত রেখে দেওয়ার ফলে পানি ও ভাতের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। এসময় পানির নিচে থাকা ভাত বাতাসের অর্থাৎ অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসতে পারে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানির কারনে ভাতের এই ফারমেন্টেশন বা গাজন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং পাত্রের ভিতরে এনারোবিক ফারমেন্টেশনের ঘটনা ঘটে।

Read more