ইউক্রেন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই হামলার খবর জানানো হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি মিসাইল ভূপাতিত করার পর এর ধ্বংসাবশেষ একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়।
ইউক্রেনের গণমাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ২৫ মিনিটে হামলার ঘটনা ঘটে। মিসাইল ধ্বংসাবশেষের কারণে আগুন ধরে গেলেও দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর আগে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল যে তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে সেই হামলায় ATACMS ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি।
ইউক্রেনের সামরিক সূত্র মতে, এই হামলা সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে চালানো হয়। হামলার পর সেখানে ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
আজকের হামলার আগে, রাশিয়ার পরমাণু নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন নীতির মধ্যে বলা হয়েছে, যদি কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তবে সেই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। এর ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।