প্রযুক্তি সংস্থা গুগল তাদের জনপ্রিয় পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম Google Pay খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করতে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তন্ময় মোদক জানান, জুন মাসের মধ্যে অথবা জুলাইয়ের প্রথম সাপ্তাহিকে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এ সেবা বাংলাদেশে লঞ্চ করা হবে।

সেবা ইন্টিগ্রেশনের মতো প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি

গুগল সরাসরি টাকা হস্তান্তর না করে একটি মাধ্যম হিসাবেই কাজ করে। সিটি ব্যাংকের কার্ডধারীরা তাদের কার্ডের বিস্তারিত Google Pay অ্যাপে যুক্ত করার পর খুব সহজেই স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবে। শুরুতেই সিটি ব্যাংকই একমাত্র ব্যাংক হিসেবে Google Pay–এর পরিবেশনা করবে, তবে ধীরে ধীরে অন্যান্য ব্যাংকও এর সাথে যুক্ত হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

Google pay ব্যবহার করতে কোন ফি লাগবে?

Google Pay নিজ থেকে কোনো সার্ভিস চার্জ রাখছে না; লেনদেন চার্জ নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট ইস্যুকারী ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক উদাহরণ থেকে জানা যায়, অন্যান্য দেশে কার্ড ইস্যুকার প্রতিষ্ঠান প্রায় ০.৫–১% ভিত্তিক ফি ধার্য করে থাকে। বাংলাদেশে কার্ড-ভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ফি প্রযোজ্য হবে কিনা, তা ইস্যুকারী ব্যাংক নির্ধারণ করবে।

স্থানীয় এমএফএস প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতা

দেশের ডিজিটাল ওয়ালেট পরিষেবা যেমন বিকাশ, রকেট ও নগদের সঙ্গে Google Pay–এর প্রবেশ প্রতিযোগিতা তীব্র করবে বলে প্রত্যাশা। পদ্মা পার হয়ে গ্রামগঞ্জেও সহজে লেনদেনের সুযোগ তৈরি হবে, যা এখনো অনেক এলাকায় বিকাশের মাধ্যমেই সম্ভব। এমএফএস প্ল্যাটফর্মগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে তাদেরও লেনদেন ফি হ্রাস বা নতুন ফিচার নিয়ে আসতে হবে।

ইউপিআই এর উদাহরণ

ভারতে UPI প্ল্যাটফর্মে মোট ডিজিটাল লেনদেনে ৯৭% অংশ, যার ৫১%ই Google Pay করে থাকে। এ অনুপাত থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশেও Google Pay যদি সফলভাবে বাজারে প্রবেশ করতে পারে, তবে ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

Google pay app ডাউনলোড ও ব্যবহার

বাংলাদেশে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা Google Pay অ্যাপ ডাউনলোড করে ব‌্যবহার করতে পারবে। অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি নামিয়ে কার্ডের তথ্য (নাম্বার, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, CVV) প্রবেশ করলেই সেটআপ সম্পন্ন হবে। গুগল অ্যাকাউন্টে আগে থেকেই সংরক্ষিত কার্ড থাকলে তা অটোমেটিক যোগ হবে। আপেল ব্যবহারকারীদের জন্য আপাতত কোনো সমন্বয় নেই, কারণ Apple Pay আলাদা সংবিধানে পরিচালিত।

Google Pay সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর।

Google Pay বাংলাদেশে কবে আসছে?

ধন্যবাদ, সাদ ভাই। আমাকে আমন্ত্রণের জন্য। আমরা যে তথ্য পেয়েছি তা হলো—বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলেছে প্রায় ২–৩ সপ্তাহ আগে। তবে Google Pay-এর বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেশন বিষয়ে আমরা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই স্টাডি করছি। যেটা নিশ্চিত করতে পেরেছি, জুন মাসের মধ্যে অথবা জুলাইয়ের প্রথম সাপ্তাহিকে এটা লঞ্চ করা হবে। অন‍্য ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে যুক্ত হবে, তবে শুরুতেই—মেইনলি সিটি ব্যাংক এর মাধ্যমে। সিটি ব্যাংকের মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড ব্যবহারকারীরা প্রথম দফায় Google Pay-এ যুক্ত হতে পারবে।

সিটি ব্যাংক কার্ডধারীরা কীভাবে Google Pay-এ পেমেন্ট করবে?

প্রথমে, আপনাকে Google Pay অ্যাপ ডাউনলোড করে আপনার সিটি ব্যাংক কার্ডগুলো যুক্ত করতে হবে—কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারির সময়, CVV কোড ইত্যাদি তথ্য দিয়ে। একবার যুক্ত হলে, অ্যাপ থেকে একটি QR কোড স্ক্যান করলেই আপনি পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন। Google Pay কোনো আলাদা সার্ভিস চার্জ রাখে না; লেনদেনে চার্জ নির্ধারণ করবে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক কি কোনো বিশেষ লাইসেন্স বা রেগুলেশন চায়?

Google Pay নিজে টাকা হোল্ড করে না, এটা একটা মিডিয়া হিসেবে কাজ করে—ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার ম্যানেজ করে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই মনিটর করবে, কিন্তু বিকাশ বা রকেটের মতো এমএফএস লাইসেন্স লাগেনা—কারণ এটা মূলত ব্যাংকিং সিস্টেমের এক্সটেনশন।

বিকাশ, রকেট, নগদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কেমন হবে?

প্রতিযোগিতা অবশ্যই তৈরি হবে। গ্রামাঞ্চলেও Google Pay এর মাধ্যমে লেনদেন সহজ হবে—দোকানে ঝুলানো QR কোড স্ক্যান করে ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট। বিকাশের ক্যাশআউট ফি যেখানে ১৫–২০ টাকা, সেখানে Google Pay-এ ক্যাশআউট ফি শূন্য; তবে ব্যাংক রুলস অনুযায়ী ব্যাংকিং চার্জ থাকতে পারে।

ভারত বা পাকিস্তান থেকে উদাহরণ কি আছে?

ভারতে UPI প্ল্যাটফর্মে মোট ডিজিটাল লেনদেনের ৯৭% হয়; এর ৫১% Google Pay-ই করে থাকে। পাকিস্তানে মার্চের ১২ তারিখে Google Pay লঞ্চের পর ডিজিটাল ট্রানজেকশনে হাইক দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশেও যদি একইভাবে প্রবেশ করে, ডিজিটাল ইনক্লুশন বাড়বে।

Google pay অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার প্রসেস

অ্যান্ড্রয়েড: Play Store—> Google Pay ডাউনলোড—> কার্ড ইনফো এড করুন।

iOS: আপাতত Apple Pay ছাড়া আলাদা ব্যবস্থা নেই। এছাড়া বাংলাদেশে iPhone ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হওয়ায় এ পর্যায়ে নেই। তাছাড়া গুগল আর এ্যাপল এর কম্পিটিশন তো আছেই।

স্থানীয় কারেন্সি ও বৈদেশিক কারেন্সি কার্ড এড করা যাবে?

হ্যাঁ, সরকারিভাবে লঞ্চের পর স্থানীয় কারেন্সির কার্ড Google Pay-এ এড করা যাবে। পূর্বে Google Pay বিদেশি কার্ড সাপোর্ট করলেও স্থানীয় কার্ড কাজ করত না—এখন তা সম্ভব হবে। ফলে Netflix, Spotify, অন্যান্য সাবস্ক্রিপশন কিনতেও সুবিধা হবে।

ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা

যেহেতু নগদ টাকা নিয়ে চলাচলে অনেকে এখনও নির্ভরশীল, তাই Google Pay–এর মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য ব্যাংক ও কার্ড ইস্যুকার প্রতিষ্ঠানও প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হলে সারা দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট আরও মসৃণ হবে।

দর্শক ও পাঠকদের জন্য এটিই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—Google Pay জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে লঞ্চ হবে এবং কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া, শুধু ব্যাংক নির্ধারিত ফি প্রদান করেই সুবিধা নেওয়া যাবে।

একই আকাশমণ্ডলে ভেসে থাকা হাজারো স্যাটেলাইটের অভ্যুদয় আজ বাংলাদেশে এনে দিয়েছে ব্রডব্যান্ড যুগের এক নতুন দিগন্ত, যেখানে ডাটা সীমাবদ্ধতা আর বন্ধ—সবই অতীতের কথা হয়ে গেলো। এলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা আগামী মাসেই (২০ মে, ২০২৫) আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হয়েছে, যা দেশের ইন্টারনেট সংযোগের গুণগত মান ও স্থিতিশীলতাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

স্টারলিংকের সেবা বাংলাদেশে চালু হওয়ার সাথে সাথে মার্চ-এ প্রাথমিক পরীক্ষামূলক লাইসেন্সের পরিণতি এসেছে পূর্ণাঙ্গ BTRC অনুমোদন ও বাণিজ্যিক দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে। দুইটি প্রধান প্যাকেজ—“স্টারলিং রেসিডেন্স” (৬,০০০ টাকা/মাস) এবং “স্টারলিং লাইট” (৪,২০০ টাকা/মাস)—দুই বছরের স্থায়ী ১০ বছরের লাইসেন্স, ৪৭,০০০ টাকা এককালীন সেটআপ খরচ, এবং আনলিমিটেড ডেটা সুবিধা নিয়ে এসেছে।

প্রযুক্তিগত ডিটেইলস ও বৈশিষ্ট্য

লো-এর্থ অরবিটের ক্ষমতা

স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলি নীচু কক্ষপথে (LEO) প্রায় ৩৫০–৫৭৮৬ কিমি উচ্চতায় অবস্থান করে, যার ফলে ল্যাটেন্সি মাত্র ২৫–৩৫ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই কম বিলম্বের ফলে উচ্চ-প্রয়োজনীয় ভিডিও কল, অনলাইন গেমিং, ও দূরবর্তী কাজের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়।

আনলিমিটেড ডেটা প্যাকেজ

বাংলাদেশে চালু হওয়া প্যাকেজ দু’টির কোনো ডেটা ক্যাপ বা ফেয়ার ইউজ ফেয়ারনেস নেই, সম্পূর্ণ আনলিমিটেড কাভারেজ নিশ্চিত করে থ্রোটলিং ছাড়াই উচ্চ-গতির ব্রডব্যান্ড অ্যাক্সেস প্রদান করে।

হার্ডওয়্যার ও কভারেজ

প্রতিটি গ্রাহককে একটি বিশেষ স্যাটেলাইট রিসিভার (ডিশ), রাউটার, পাওয়ার সাপ্লাই, এবং কেবল সরবরাহ করা হয়; একবার আকাশের দিকে ঠিকমতো অ্যান্টেনা সেট আপ করলেই শহর কিংবা গ্রামীণ, সবখানেই উচ্চ-গতির ইন্টারনেট প্যাকেজ সক্রিয় হয়।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেডকে দুইটি লাইসেন্স—Non-Geostationary Satellite Orbit Operator License ও Radio Communication Apparatus License—জারি করেছে, যা ১০ বছর সময়সীমার জন্য বৈধ থাকবে। লাইসেন্স গ্রহণ অনুষ্ঠানে BTRC চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, “এটি দেশে ব্রডব্যান্ড প্রবেশের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ”।

কেন স্টারলিংক, এবং কারা উপকৃত?

১। ব্যবসায়িক পেশাজীবী ও ফ্রিল্যান্সার: জুম মিটিংয়ে বিঘ্ন বিহীন সংযোগ, নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিও কল, সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২। দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চল: যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল বা ব্যবসায়িক ফাইবার পৌঁছে না, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫০–৬০ মিটার ইনডোর ক্যাভারেজ নিশ্চিত, সেলুলার টাওয়ার নির্ভরতা কমিয়ে দেয়।

৩। কর্পোরেট সলিউশন: আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উজ্জ্বল প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশকে “ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেন্ডলি” ভাবমূর্তিতে দৃঢ় করবে, নতুন খেলোয়াড়দের আগমন উৎসাহিত করবে।

সংযোগ নেবেন যেভাবে এবং খরচ কত?

১। প্রাপ্যতা যাচাই: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ঠিকানা এবং GPS কোয়ার্ডিনেট প্রবেশ করুন।

২। অর্ডার প্লেস: স্টারলিংক ড্যাশবোর্ড থেকে নির্বাচন করুন—“রেসিডেন্স” (৬,০০০ টাকা/মাস) অথবা “লাইট” (৪,২০০ টাকা/মাস) প্যাকেজ।

৩। পেমেন্ট ও শিপিং: সেটআপ কিট (৪৭,০০০ টাকা) + প্রথম মাসের সাবস্ক্রিপশন ফি।

৪। ইনস্টলেশন: টেকনিক্যাল গাইডলাইনের সাহায্যে ডিশ স্থাপন, অটোমেটিক লেভেলিং সম্পন্ন করুন।

৫। ওয়াই-ফাই কনফিগ: রাউটারের SSID/পাসওয়ার্ড কাস্টমাইজ করুন, যেকোন ডিভাইসে লগইন করুন।

৬। সাপোর্ট: অ্যাপ বা ওয়েব পোর্টালে টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিকেট সিস্টেম থেকে সহায়তা নিন।

উপসংহার

আকাশের জালে ভেসে থাকা স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলি বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিসরকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে আসবে, যেখানে আনলিমিটেড ডেটা, নিম্ন ল্যাটেন্সি ও বিশ্বস্ত সংযোগ নিশ্চিত করে দেশকে “ব্রডব্যান্ড হাইওয়ে”–তে রূপান্তর করবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, ব্যবসায়িক গতিশীলতা, শিক্ষাক্ষেত্র ও আঞ্চলিক উন্নয়ন—সবখানেই এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। এবার প্রশ্ন, আপনার এলাকার আকাশে স্টারলিংক কতটা উন্মুক্ত?

পোল / প্রশ্ন:

বিশ্বের সবচেয়ে বড় LED স্ক্রিন

আকার ও রেজোলিউশন

Sphere-এর অভ্যন্তরীণ স্ক্রিনের প্যানেল ১৬,০০০×১৬,০০০ পিক্সেলের সমন্বয়ে তৈরি, যা মোট ১৬০,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। প্রতিটি স্ক্রিনে ৬৪,০০০টি পৃথক LED টাইল ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলো SACO Technologies (কানাডা) এ তৈরি। এই পরিমাণ পিক্সেল দিয়ে প্রায় ২৫৪ মিলিয়ন পর্যন্ত ডিসপ্লে উপাদান তৈরি করা সম্ভব বলে Sphere Entertainment দাবি করে।

প্যানেলের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

প্রত্যেক টাইলের এজ টু এজ টলারেন্স মাত্র ০.৮ মিমি এবং কার্ভড স্ক্রিনে পিক্সেল পিচ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য হয়, ফলে গোলাকৃতির সমস্ত অংশেই সমান ভিজ্যুয়াল রেজোলিউশন বজায় থাকে। প্যানেলের আউডিও-ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিত করতে ফ্রেম ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সাউন্ড সিস্টেমের স্পিকারগুলি ছবির পিছনেও ইনস্টল করা যায়।

বাহ্যিক স্ক্রীন: Exosphere

Sphere-এর বাইরের অংশে ৫৮০,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ১.২৩ মিলিয়ন পাক-আকৃতির LED প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রত্যেকটিতে ৪৮টি ডায়োড রয়েছে। এটি খোলামেলা ইভেন্ট-বিজ্ঞাপন, মৌসুমী থিম (যেমন হ্যালোউইন জ্যাক-ও’-ল্যান্টার্ন, ক্রিসমাস স্নো গ্লোব) এবং বড় কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ইমার্সিভ অডিও–ভিডিও প্রযুক্তি

অডিও সিস্টেম

Sphere Immersive Sound নামে পরিচিত এই সাউন্ড সেটআপে Holoplot-এর X1 ম্যাট্রিক্স অ্যারেতে মোট ১৬৭,০০০ স্পিকার ড্রাইভার ইনস্টল করা হয়েছে, যার মধ্যে ১,৫৮৬টি স্থায়ী ও ৩০০টি পোর্টেবল মডিউল রয়েছে। প্রতিটি মডিউলে MD96 ও MD80-S ড্রাইভার ইউনিট থাকে, যেগুলো অনুভূমিক ও উল্লম্বভাবে শব্দ বিম ফোকাস করে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় যুক্ত হয়।

গ্রাফিক্স ও স্ট্রিমিং

Sphere-এর ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের জন্য ১৫০টি NVIDIA RTX A6000 GPU ব্যবহার করা হয়, যা লাইভ ১৬×১৬কে ফুটেজ রেন্ডার করতে সক্ষম। অন্যদিকে, মিডিয়া স্ট্রিমিং ব্যবস্থার জন্য NVIDIA BlueField DPU ও ConnectX-6 DX নেটওয়ার্ক কার্ড Raymax স্ট্রিমিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

হ্যাপটিক সিট ও 4D ফিজিক্যাল ইফেক্টস

Sphere-এ Powersoft-এর হ্যাপটিক সিট ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা শব্দের সাথে মিল রেখে ভিব্রেশন সিগন্যাল পাঠিয়ে দর্শকদের শরীরের বিভিন্ন অংশে অনুভূতিগত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এছাড়া গন্ধ ছড়ানো, হাওয়া প্রবাহ এবং স্নো-এফেক্টের মতো ৪ডি উপাদান রয়েছে, যা পুরো ইমার্সিভ এক্সপেরিয়েন্সকে নতুন মাত্রা দেয়।

মূখ্য পারফরমেন্স ও রেসিডেন্সি

U2:UV Achtung Baby Live at Sphere

Sphere ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হয় আইরিশ রক ব্যান্ড U2-এর ৪০ শো দীর্ঘ রেসিডেন্সি দিয়ে, যা শুরুতেই ফিল্মমেকার ডেরেন অ্যারোনোফস্কি-র ডকু-ফিল্ম “Postcard from Earth” দ্বারা সঙ্গীত ও ভিজ্যুয়াল দৃশ্যের নতুন সংজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করে।

The Wizard of Oz এবং অন্যান্য রেসিডেন্সি শো

DeepMind ও Google Cloud-এর উন্নত AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে “The Wizard of Oz at Sphere” পুরোপুরি নতুন রূপে তৈরী করা হয়েছে, যা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এছাড়া Phish, Dead & Company ও The Eagles-এর রেসিডেন্সিও আয়োজন করা হয়েছে, যা সাউন্ড ও ভিজ্যুয়াল নিয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

আরও পড়ুন: How to Make Money with AI in 2025: Top Strategies and Trends

টিকেট কেনার প্রক্রিয়া এবং কীভাবে কিনতে হয়

Sphere-এ কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে চাইলে Ticketmaster-ই একমাত্র অনুমোদিত টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম। প্রথমে Sphere-এর অফিসিয়াল সাইট বা সরাসরি Ticketmaster-এ গিয়ে আপনার পছন্দের ইভেন্ট সিলেক্ট করুন, তারপর প্রদর্শিত সিট ম্যাপ থেকে সিট চয়ন করে অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন। নিচে ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হলো:

১. ইভেন্ট ও তারিখ নির্বাচন

1. Sphere-এর অফিসিয়াল সাইটে যান: https://www.thespherevegas.com/shows

2. “Shows & Tickets” মেনু থেকে আপনার পছন্দের শো ক্লিক করুন The Sphere।

3. নির্বাচিত শো পেইজে “Buy Tickets” বোতামে ক্লিক করুন, যা আপনাকে Ticketmaster-এর ইভেন্ট-পেজে নিয়ে যাবে।

২. সিট সিলেকশন

1. Ticketmaster ওয়েবসাইটে গেলে আপনি একটি ইন্টারেক্টিভ সিট ম্যাপ দেখতে পাবেন, যেখানে বিভিন্ন সেকশন এবং সারির টিকিটের দাম ও সুবিধাগুলো এক নজরে বুঝতে পারবেন।

2. পছন্দমতো সেকশন ও সারি বেছে নিন।

3. একাধিক সিট যুক্ত করতে চাইলে প্রতিবার “+” আইকন চাপুন।

৩. ক্রেতা তথ্য ও পেমেন্ট

1. Sign In করতে হবে—Ticketmaster অ্যাকাউন্ট না থাকলে সাইন আপ করুন The Sphere।

2. ক্রেতার নাম, ইমেইল, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য প্রবেশ করান।

3. পেমেন্ট মেথড হিসেবে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, PayPal বা অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করুন The USA Leaders।

4. “Complete Purchase” চাপলেই পেমেন্ট সফল হলে কনফার্মেশন পাওয়া যাবে।

৪. মোবাইল টিকেট গ্রহণ ও প্রদর্শন

1. Purchase সম্পন্ন হলে Mobile Tickets হিসেবে পাঠানো হয়—আপনার ইমেইল ও Ticketmaster অ্যাপের My Events সেকশনে দেখতে পারবেন।

2. QR কোড বা Barcode স্ক্রিনশট হিসেবে কিংবা Ticketmaster অ্যাপের মধ্যে নিয়েই ইভেন্ট ডে-তে প্রবেশের সময় স্ক্যান করান।

3. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টিকেট অন্য কাউকে Transfer করা যায় Ticketmaster-এর Transfer অপশনের মাধ্যমে।

৫. অতিরিক্ত তথ্য ও বিকল্প

• In-Person Box Office: পরিদর্শনকারী ব্যক্তিগতভাবে Sphere-এর বক্স অফিস থেকেও টিকিট ক্রয় করতে পারেন, তবে অনলাইন সেলসমূলক ছাড়াও সীমিত সিট পাওয়া যেতে পারে।

• Group Tickets: ৯ বা ততোধিক সদস্যের গ্রুপ হলে Group Tickets প্ল্যানের জন্য আবেদন করতে পারেন, যাতে বিশেষ মূল্যছাড় এবং গ্রুপ সিটিং সুবিধা পাওয়া যায়।

• VIP & Premium Suites: Director’s Seat বা Premium Suite পছন্দ করলে আলাদা Hospitality Packages-এর জন্য Sphere-এর ওয়েবসাইটে “Premium” সেকশন দেখুন।

এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই Sphere-এ আপনার পছন্দের কোনো শো বা ইভেন্টের টিকিট কিনতে পারবেন এবং বিশেষ মুহূর্তগুলো উপভোগের জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন।ভবিষ্যত পরিকল্পনা

Sphere Entertainment ঘোষণা করেছে যে, Sphere-এর দ্বিতীয় ভেন্যু আবুধাবিতে নির্মাণ করা হবে এবং আরও নতুন ইমার্সিভ কনটেন্টের জন্য শিল্পী, গেমিং, কনফারেন্স ও স্পোর্টস ইভেন্টগুলো যুক্ত হবে AVNetwork। এছাড়া Xbox, YouTube NFL Sunday Ticket-এর মতো পার্টনারশিপের মাধ্যমে Sphere-marketing প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারিত হবে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্ক্রীন সম্বলিত এই Sphere ভেন্যু প্রযুক্তি, ডিজাইন এবং কনটেন্টের মিলনায়তনে অদ্বিতীয় ইমার্সিভ বিনোদন অভিজ্ঞতা উপহার দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বিনোদনশিল্পের মানদণ্ড নির্ধারণ করবে।

All image source: youtube.com

৯০W ফাস্ট চার্জিং স্মার্টফোন

Vivo V50 Lite-এ রয়েছে ৬৫০০mAh ব্যাটারি, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত। এই ব্যাটারি ৯০W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, যার ফলে মাত্র ২০ মিনিটে ৫০% এবং প্রায় ৫৮ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়।

উন্নত ডিসপ্লে ও ডিজাইন

এই ফোনে রয়েছে ৬.৭৭ ইঞ্চির ফুল HD+ AMOLED ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০Hz এবং সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা ১৮০০ নিটস। এটি SGS লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত, যা চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

ক্যামেরা ফিচার

Vivo V50 Lite-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা (Sony IMX882 সেন্সর) এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর। সেলফির জন্য রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলো দিয়ে আপনি উচ্চমানের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।​

পারফরম্যান্স ও স্টোরেজ

ফোনটি Snapdragon 685 প্রসেসর দ্বারা চালিত, যার সাথে রয়েছে ৮GB RAM এবং ১২৮GB স্টোরেজ। এছাড়াও, ৮GB পর্যন্ত ভার্চুয়াল RAM বাড়ানোর সুবিধা রয়েছে।

  কানেক্টিভিটি ও অন্যান্য ফিচার

• নেটওয়ার্ক: ২G, ৩G, ৪G সাপোর্ট।

• ব্লুটুথ: 5.0

• USB: টাইপ-C

• NFC: বাংলাদেশে সাপোর্ট নেই।

• ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর: ইন-ডিসপ্লে অপটিক্যাল।​

আরও পড়ুন: How to Make Money with AI in 2025: Top Strategies and Trend

Pushpa 2 The Rule 2024 full Movie in Hindi Dubbed || Pushpa 2 Movie Full HD 720p, 1080p 

Squid Game Season 2 link Telegram || Squid Game Season 2 in Hindi Dubbed

Vivo V50 Lite স্পেসিফিকেশন চার্ট

বাংলাদেশে Vivo V50 Lite-এর দাম প্রায় ৩০,০০০ টাকা হতে পারে।এই ফোনটি অনলাইনে ওর্ডার করতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

উপসংহার

Vivo V50 Lite একটি বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায় এমন শক্তিশালী স্মার্টফোন, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং, উন্নত ডিসপ্লে এবং ভালো ক্যামেরা ফিচার প্রদান করে। যারা একটি নির্ভরযোগ্য এবং পারফরম্যান্সে সমৃদ্ধ ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।

কারখানার কর্মীদের উদ্দেশে গত সোমবার একটি বার্তায় জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কাজে আসার প্রয়োজন নেই। তবে সাইবার ট্রাকের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধের কারণ সম্পর্কে টেসলা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

আরও পড়ুন: গুগল থেকে ক্রোম ব্রাউজার কে আলাদা করার চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে পুষ্পা ২?

স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি সাইবার ট্রাকে পণ্য পরিবহনের জন্য ৬ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া জায়গা রয়েছে। ২৫ হাজার পাউন্ড ভর বহন করতে পারে গাড়িটি। এ ছাড়া গাড়িটির টোয়িং ক্ষমতা ১১ হাজার পাউন্ড। স্টেইনলেস স্টিলের বডি থাকায় গাড়িটিতে কোনো দাগ বা আঁচড় পড়ে না। ফলে রং করারও প্রয়োজন নেই।

সূত্র: প্রথম আলো